বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের সমাধি
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান (Birshreshtha Hamidur Rahman) ১৯৫৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারী বর্তমান ঝিনাইদহ জেলার অন্তর্গত তৎকালীন যশোর জেলার মহেশপুর উপজেলার খর্দ্দ খালিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মোহাম্মদ হামিদুর রহমানের পিতার নাম আক্কাস আলী মন্ডল এবং মাতার নাম মোসাম্মাৎ কায়মুন্নেসা। ১৯৭০ সালে হামিদুর রহমান পাকিস্থান সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সিপাহী পদে যোগ দেন৷
১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান সিলেটের শ্রীমঙ্গল এলাকায় যুদ্ধ করছিলেন। দলের অধিনায়কের নির্দেশে ২৮ অক্টোবর সকালে হামিদুর রহমান ধলই বিওপি-তে পাকিস্থানীদের ঘাটি দখলের জন্য অগ্রসর হন। একটি মেশিনগান নিয়ে জীবন বাজি রেখে হামিদুর রহমান একাই দুইটি পাকিস্থানি যুদ্ধ ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেন। এতে শত্রুঘাটির অধিনায়ক এবং বেশ কয়েকজন সৈন্য নিহত হয়। একসময় যুদ্ধরত অবস্থায় এই বীর সন্তান শত্রুদের পাল্টা আক্রমনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তাঁর আত্নত্যাগের কয়েকদিনের মধ্যেই ধলই সীমান্ত ফাঁড়ি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সহযোদ্ধারা বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের মৃতদেহ সীমান্তের ওপারে নিয়ে ভারতের আমবাসা গ্রামের একটি মসজিদের পাশে সমাধিস্থ করেন।
দীর্ঘ ৩৬ বছর পর ২০০৫ সালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আমবাসা গ্রাম থেকে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। ২০০৭ সালের ১১ ডিসেম্বর ঢাকার মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর দেহাবশেষ পুনঃসমাহিত করা হয়।
কিভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকার যেকোন স্থান থেকে নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা অথবা মিরপুরগামী বাসে চড়ে মিরপুর ১ এর মাজার রোডে অবস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের সমাধিতে যেতে পারবেন।
ফিচার ইমেজ: রানা দিপম বসু
No comments