বিথাঙ্গল বড় আখড়া

 

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় বিতঙ্গল গ্রামে বিথাঙ্গল বড় আখড়া (Bithangal Bara Akhara) বা বিতঙ্গল আখড়ার অবস্থান। বৈষ্ণব ধর্মালম্বীদের অন্যতম তীর্থস্থান হিসাবে পরিচিত এই আখড়াটি ষোড়শ শতাব্দীতে রামকৃষ্ণ গোস্বামী নির্মাণ করেন। মধ্যযুগীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত বিথাঙ্গল বড় আখড়ায় ১২০ জন বৈষ্ণবের জন্য পৃথক কক্ষ রয়েছে। এখানে যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য্যের মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব আয়োজন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন উৎসবের মধ্যে আছে আষাড় মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রথযাত্রা, ফাল্গুন মাসে দোল পূর্ণিমার ৫ দিন পর পঞ্চম দোল উৎসব, কার্তিক মাসের শেষ দিনে ভোলা সংক্রান্তিতে কীর্তন, চৈত্রের অষ্টমী তিথিতে পূণ্যস্নান ও বারুনী মেলা ইত্যাদি।

বিথাঙ্গল বড় আখড়ার অন্যতম নিদর্শনের মধ্যে সুসজ্জিত রথ, পিতলের সিঙ্ঘাসন, ২৫ মণ ওজনের শ্বেত পাথরের চৌকি, রৌপ্য পাত্র ও সোনার মুকুট উল্লেখযোগ্য। প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক বানিয়াচং উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিথাঙ্গল বড় আখড়া পরিদর্শন করতে আসেন।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে বানিয়াচংয়ের দূরত্ব ১৮১ কিলোমিটার। হবিগঞ্জ কিংবা শায়েস্তাগঞ্জ পৌঁছে অটোরিকশা, সিএনজি অথবা বাসে বানিয়াচং যাওয়া যায়। হবিগঞ্জ থেকে বানিয়াচংয়ের দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার এবং শায়েস্তাগঞ্জ থেকে বানিয়াচংয়ের দূরত্ব ৩৬.২ কিলোমিটার। রেলপথ ব্যবহার করতে চাইলে ঢাকা হতে কেবল মাত্র শায়েস্তাগঞ্জ আসতে পারবেন।

বর্ষাকালে হবিগঞ্জের পাশের জেলা কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকা (যেমন ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলী, বাজিতপুর) হতে ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে দেড় থেকে দুই ঘন্টায় বিথাঙ্গল যাওয়া যায়। তবে শুকনো মৌসুমে হবিগঞ্জ কামড়াপুর ব্রীজ হতে জিপ দিয়ে সুজাতপুর এসে নৌকো বা পায়ে হেটে আখড়ায় যেতে হয়।

হবিগঞ্জ থেকে লোকাল বোট ছাড়ার সময়: সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট, সকাল ১০ টা ৩০মিনিট এবং বেলা ১২টা। আর ফিরে আসার শেষ নৌকা ছাড়ে দুপুর ২টায়।

কোথায় থাকবেন

এখানে রাতে থাকার কোন সুযোগ নেই। তবে উৎসবের সময় রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।

কোথায় খাবেন

স্থানীয় পর্যায়ে এখানে কিছু খাবারের হোটেল রয়েছে। পছন্দমত খাবার খেতে চাইলে আপনাকে বানিয়াচং কিংবা হবিগঞ্জ যেতে হবে।



No comments

Translate

Powered by Blogger.