নারায়ণতলা
সুনামগঞ্জ জেলার শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নারায়ণতলা (Narayantala) অবস্থিত। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থানের কারণে নারায়ণতলা থেকে দূরের সবুজ পাহাড়ের চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও নারায়ণতলার রয়েছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব। নারায়ণতলার ডলুরা নামক স্থানে ৪৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার গণকবর রয়েছে। তাই এখানে আসা দর্শনার্থীরা বালাট সাব সেক্টরের অধীনে থাকা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে মোটেও ভুল করেন না। আর নারায়ণতলার মুগাইর পাড় গ্রামে গেলে গারো আদিবাসীদের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
নারায়ণতলায় সাধু টমাসের গির্জা নামে পরিচিত খ্রিস্টান মিশনারী কতৃক পরিচালিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া ডলুরা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা চলতি নদীর অপরূপ দৃশ্য ভ্রমণকারীদের মোহিত করে। চলতি নদীর তীরের বালুকাময় প্রান্তর দেখে সাগরের বেলাভূমি বলে মনে হয়।
কিভাবে যাবেন
নারায়ণতলা যেতে চাইলে প্রথমে সুনামগঞ্জ জেলায় আসতে হবে। সুনামগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট হতে সিএনজি/টমটমে হালুয়ার ঘাট নেমে টলারে নদী পাড় হয়ে রিকশা বা মোটরসাইকেল যোগে নারায়ণতলা শহীদ মিনার পৌঁছাতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
সুনামগঞ্জ শহরে ২০০ থেকে ১০০০ টাকা ভাড়ায় বিভিন্ন মানের হোটেলে রাতে থাকতে পারবেন। উল্লেখযোগ্য হোটেলের মধ্যে রয়েছে হোটেল নূর, হোটেল সারপিনিয়া, হোটেল নূরানী, হোটেল মিজান, হোটেল প্যালেস এবং সুরমা ভ্যালী আবাসিক রিসোর্ট।
কোথায় খাবেন
সুনামগঞ্জে বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ কোন খাবার রেস্টুরেন্ট নেই। মাঝারি মানের খাবার হোটেল বা রেস্টুরেন্ট থেকে নিজের প্রয়োজনীয় খাবারের চাহিদা মেটাতে পারবেন। এদের মধ্যে পাঁচ ভাই, ফাইভ স্টার, জনতা, হোটেল রাজ প্রভৃতি অন্যতম।
সুনামগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান
সুনামগঞ্জ জেলা ভৌগলিকভাবেই বৈচিত্রপূর্ণ। হাসান রাজা মিউজিয়াম ছাড়াও সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থানের মধ্যে রয়েছে টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদসিরাজ লেক বা নীলাদ্রী লেক, যাদুকাটা নদী, বারিক্কা টিলা ও শিমুলবাগান।
No comments