সুজাবাদ কেল্লা
সুজাবাদ কেল্লা (Sujabad Kella) ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দুই নং মগর ইউনিয়ন সুজাবাদ গ্রামে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। বাংলার সুবেদার মোঘল সম্রাট শাজাহানের পুত্র শাহজাদা সুজা এই কেল্লা নির্মাণ করেন। মোগল শাসনামলের শেষভাগে ঝালকাঠি অঞ্চল মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের লুণ্ঠনের প্রধানক্ষেত্রে পরিণত হয়। জলদস্যুদের শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে বাংলার সুবেদার পুত্র শাহজাদা সুজা ১৬৫৪ সালে সুজাবাদ গ্রামের প্রবর্তন করে এখানে দুইটি কেল্লা নির্মাণ করেন। দুইটি কেল্লার একটি ছিল মাটি এবং অন্যটি ইটের তৈরি। যা তৎকালীন সময়ে অন্দর ও বাহির কেল্লা নামে পরিচিতি লাভ করে।
প্রচলিত আছে, একরাতের মধ্যে কেল্লা দু’টি নির্মাণ করা হয় যার কারণে এক সময় স্থানীয় বাসিন্দারা সুজাবাদ কেল্লাকে ‘ভূতের গড়’ নামে ডাকতেন। তবে বর্তমানে সুজাবাদ কেল্লাটি ‘পুরাতন কলেজ’ নামে অধিক পরিচিত। পরবর্তীকালে শাহজাদা সুজা তার ভাই আওরঙ্গজেব কতৃক গৃহবন্দী ও যুদ্ধে পরাজিত হয়ে এই কেল্লায় এসে আশ্রয় নেন।
কিভাবে যাবেন
ঝালকাঠি (Jhalakathi) জেলায় এসে স্থানীয় পরিবহন ব্যবস্থায় নলছিটি থানা দুই নং মগর ইউনিয়ন সুজাবাদ গ্রামে অবস্থিত সুজাবাদ কেল্লা দেখতে যেতে পারবেন।
ঢাকা থেকে ঝালকাঠি
ঢাকা থেকে বাস এবং লঞ্চে করে ঝালকাঠি জেলায় যাওয়া যায়। ঢাকা টু ঝালকাঠি রুটে বিভিন্ন পরিবহণের এসি ও ননএসি বাস চলাচল করে। নন-এসি বাসের জনপ্রতি টিকেটের মূল্য হানিফ পরিবহণ ৫৫০ টাকা, সাকুরা পরিবহন ৫০০ টাকা, সার্বিক পরিবহন ৫০০ টাকা। আর এসি বাসের জনপ্রতি সিটের ভাড়া সোনারতরী পরিবহন ৭০০ টাকা, সার্বিক পরিবহন ৮০০ টাকা ও সুরভী পরিবহন ৭৫০ টাকা।
ঢাকা হতে নদী পথে ঝালকাঠি যেতে চাইলে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে লঞ্চে উঠতে হবে। ঢাকা টু ঝালকাঠি নৌরুটে চলাচলকারী লঞ্চ গুলো হলো এম ভি টিপু-০, এম ভি টিপু-১ সুরভী-৭, সুরভী-৮, পারাবত-২, পারাবত-৯, পারাবত-১১। এছাড়া বরিশালগামী লঞ্চে বরিশাল গিয়ে সেখান থেকে সড়কপথে ঝালকাঠি যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
থাকার জন্যে ঝালকাঠি জেলা শহরে মোটামুটি মানের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। শহরের ধানসিঁড়ি রেস্ট হাউজ বা ডালিয়ান থাই চাইনিজ হোটেলে থাকতে হলে ২৫০ থেকে ১০০০ টাকা খরচ হবে।
কোথায় খাবেন
কালিবাড়ী রোডে অবস্থিত সকাল-সন্ধ্যা সুইটসের লুচি-ভাজি খেয়ে দেখতে পারেন। আর অবশ্যই ঘোষ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মিষ্টি এবং রসমালাই খেতে ভুল করবেন না।
No comments