সীমা বৌদ্ধ মন্দির
পটুয়খালী জেলার কুয়াকাটার প্রাচীন কুয়ার সামনে ঐতিহ্যবাহী সীমা বৌদ্ধ মন্দির (Seema Buddha Bihar) অবস্থিত। কয়েক বছর আগে কাঠের তৈরি মন্দির স্থলে বর্তমানে শোভা পাচ্ছে ইট পাথরে তৈরি মন্দির। ঐতিহাসিক ৩৭ মন ওজনের প্রাচীন অষ্টধাতুর তৈরি ধ্যানমগ্ন বুদ্ধ মূর্তিটি নতুন মন্দিরে স্থান পেয়েছে। ঐতিহ্যবাহী সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের কাছে আছে রাখাইনদের আবাসস্থল কেরানিপাড়া। কেরানিপাড়ার রাখাইন নারীরা কাপড় বুণনে অনেক সমাদৃত, বিশেষ করে তাদের তৈরি চাদরগুলো বেশ আকর্ষণীয় হয়ে থাকে।
মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির: কুয়াকাটা সৈকত থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাখাইন সম্প্রদায়ের একটি গ্রামের নাম মিশ্রিপাড়া। মিশ্রিপাড়াতেও একটি বড় বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে। ধারণা করা হয়, এই মন্দিরে রাখা বৌদ্ধ মূর্তিটি আকারে উপমাহাদেশের সবচেয়ে বড়। এছাড়া এই মন্দিরের কাছে আমখোলা গ্রামে রাখাইনদের সবচেয়ে গ্রাম অবস্থিত। যেখানে এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনধারার সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
কিভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকা থেকে নদী ও সড়ক পথে কুয়াকাটা যাওয়ার সুযোগ থাকলেও নদী পথে ভ্রমণই সবচেয়ে সুবিধাজনক। ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এমভি পারাবত, এমভি সৈকত, এম ভি সুন্দরবন প্রভৃতি লঞ্চে পটুয়াখালী পৌঁছে সেখান থেকে বাসে কুয়াকাটা যেতে পারবেন।
আর বাসে যেতে চাইলে ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে সাকুরা, দ্রুতি কিংবা সুরভী পরিবহনের বাসে কুয়াকাটা যাওয়া যার। এছাড়া কমলাপুর বিআরটিসি ডিপো থেকে প্রতিদিন সকাল ও রাতে কুয়াকাটাগামী কয়েকটি বাস যাত্রা করে।
কোথায় থাকবেন
পর্যটকদের থাকার জন্য কুয়াকাটায় বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল আছে। মান ও শ্রেনী অনুযায়ী এসব হোটেলে ৪০০-৫,০০০ টাকায় থাকতে পারবেন। কুয়ায়াটার উল্লেখযোগ্য আবাসিক হোটেলের মধ্যে ইয়ুথ ইন হোটেল, হলিডে হোমস হোটেল, হোটেল গ্রেভার ইন, সি ভিউ হোটেল, বীচ হ্যাভেন রিসোর্ট, সী গার্ল, হোটেল বনানী প্যালেস, হোটেল কুয়াকাট ইন, হোটেল নীলাঞ্জনা, হোটেল গোল্ডেন প্যালেস অন্যতম।
কোথায় খাবেন
কুয়াকাটায় হোটেলগুলো নিজস্ব রেস্টুরেন্টে তাদের অতিথিদের খাবারের জন্য ব্যবস্থা করে। এছাড়া এখানকার স্থানীয় রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন রকম দেশী খাবার পাওয়া যায়।
No comments