ছাত্রজীবনই সেরা সময়
ভলান্টিয়ারিং বা স্বেচ্ছাসেবী কাজের জন্য ছাত্রজীবনকেই সবাই গুরুত্ব দেন। কারণ ছাত্রজীবনে কোনও অর্থনৈতিক চাপ থাকে না। থাকে না ক্যারিয়ারের জন্য বাড়তি উদ্বেগ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ছাত্রজীবনে সব ধরনের এক্সপেরিমেন্ট চালানোর সুযোগ পাওয়া যায়। তাই স্বেচ্ছাসেবী কাজ করার জন্য ছাত্রজীবনকেই বেছে নেওয়া উচিত।
অভিজ্ঞতার ঝুলি বড় হবে
চাকরি খোঁজার সময় বেশিরভাগ প্রার্থীই যে কমন সমস্যায় পড়েন সেটি হলো ‘অভিজ্ঞতা’। ছাত্রজীবনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করলে চাকরির সময় এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। পড়াশুনার পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যুক্ত থাকলে পরিণত বয়সে জীবনবৃত্তান্তে অভিজ্ঞতা হিসেবে সেগুলো যোগ করা যায়। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা দেখতে পেলে নিয়োগকর্তারা আপনাকে চাকরিতে নিযুক্ত করার জন্য খুঁজে বেড়াবেন।
নেটওয়ার্ক তৈরি হয়
ছাত্রজীবনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে কর্মক্ষেত্রের নেটওয়ার্ক বড় হয়। পরবর্তীতে তারাই আপনাকে বিভিন্ন চাকরি পেতে সাহায্য করতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, চাকরির নেটওয়ার্ক তৈরিতে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ বড় ভূমিকা পালন করে।
ক্যারিয়ারের লক্ষ্য নির্ধারণ করা যায়
বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করলে ক্যারিয়ারের লক্ষ্য ঠিক করতে সুবিধা হয়। সংগঠনের ধরন, প্রকৃতি ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী নিজের আগ্রহের জায়গা তৈরি হয়। ক্যারিয়ারের লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য অনেকে ছাত্রজীবনে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করেন।
নতুন নতুন দক্ষতা তৈরি হয়
স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার সময় প্রায়ই বিভিন্ন ইভেন্টের দায়িত্ব পালন করতে হয়। ফলে নতুন নতুন দক্ষতা তৈরি হয়। চাকরির সময় কাজের পারদর্শিতা ও দক্ষতা দেখেই নিয়োগকর্তারা আপনাকে নিয়োগ করবেন। তাই নতুন নতুন দক্ষতা অর্জনের জন্য ছাত্রজীবনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করুন।
আত্মবিশ্বাস বাড়ায়
অনেকে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য ছাত্রজীবনে পড়াশুনার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। আত্মবিশ্বাস কম হলে চাকরি পেতে কষ্ট হয়। কেননা নিয়োগকর্তারা স্মার্ট ও আত্মবিশ্বাসী মানুষকে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।
সামাজিক যোগাযোগ বাড়বে
ছাত্রজীবনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে কাজ করার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ বাড়ে। যাদের সামাজিক দক্ষতার অভাব রয়েছে তারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে পারেন। আর ১০ জন মানুষের সঙ্গে কাজ করলে তাদের সঙ্গেও হৃদ্যতা তৈরি হয়। এভাবে কথা বলার জড়তা কিংবা অন্তর্মুখী স্বভাব দূর করা যায়। যা চাকরিজীবনে কাজে দেয়।
বিষণ্ণতা ভুলতে সহায়ক
বিষণ্ণতা ভুলে থাকার জন্য অনেকেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে যোগ দেন। একসঙ্গে অনেক মানুষের সঙ্গে চলাফেরার মাধ্যমে মনের ভেতর থাকা ক্ষোভ, দুঃখ ও আবেগ ভুলে থাকা সম্ভব। সে কারণে ছাত্রজীবনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন কর্মসংস্থান বিশেষজ্ঞরা।
No comments